শেরপুর জেলার শ্রীবরদী পৌর শহর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে কর্নঝোরা বাজার সংলগ্ন এলাকায় রাজার পাহাড়ের অবস্থান। রাজার পাহাড়, নাম শুনলেই নিশ্চয়ই কল্পনায় ভেসে ওঠে কোনো রাজা সিংহাসন পেতে বসে আছে পাহাড় চূড়ায়! যদিও এখন সেখানে গেলে রাজার দেখা মিলবে না। তবে প্রাচীনকালে এই পাহাড়ের গায়ে এক স্বাধীন রাজ্য ছিল। যার রাজা ছিলেন অত্যন্ত প্রতাপশালী। পরে তার নামানুসারেই এ পাহাড়ের নাম হয় রাজার পাহাড়।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী প্রান্তিক শেরপুর জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য ছোট বড় টিলা, শাল গজারীর বন, পাহাড়ের নিচে বিস্তৃত সবুজ প্রান্তর। সেখানেই আছে সুবিশাল ও রোমাঞ্চকর রাজা পাহাড়। পর্যটকদের কাছে শেরপুরে অন্যতম আকর্ষণ হলো রাজার পাহাড়। গারো পাহাড়ে যতগুলো পাহাড় আছে তার মধ্যে রাজার পাহাড়ের উচ্চতা সবচেয়ে বেশি। এ পাহাড়ের বৈশিষ্ট সিলেট বা বান্দরবানের পাহাড়ের মতো না হলেও, সবুজের ঐশ্বর্যে সে কারও চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
রাজার পাহাড়ের পাশেই আছে আদিবাসী জনপদ বাবেলাকোনা। অসংখ্য উঁচু টিলায় ঘেরা এই গ্রামে বাস করে গারো, হাজং ও কোচ অধ্যুষিত আদিবাসীরা। এ জনপদ যেন বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের চলমান জীবন সংগ্রামের এক বিরল দৃষ্টান্ত। আদিবাসীদের সংস্কৃতি, সংরক্ষণ ও চর্চার কেন্দ্র হিসেবে সেখানে আছে বাবেলাকেনা কালচারাল একাডেমি, জাদুঘর, লাইব্রেরি, গবেষণা বিভাগ ও মিলনায়তন। এখান থেকে আদিবাসীদের সম্পর্কে জানতে পারবেন অনেককিছু।