শের আলী গাজী ছিলেন অষ্টাদশ শতাব্দীর সূচনা লগ্নে শেরপুর পরগনার শেষ মুসলিম জমিদার। গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজী দশ কাহনিয়া অঞ্চল দখল করে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করেন। এই শের আলী গাজীর নামে দশ কাহনিয়ার নাম হয় ‘শেরপুর’। ১৯৭৯ সালে শেরপুরকে মহকুমা ও ১৯৮৪ সালে জেলায় উন্নীত করা হয়।
দশ কাহনিয়াঃ শেরপুর পৌরসভার দক্ষিণ সীমান্তে মৃগী নদী হতে জামালপুর ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮-৯ মাইল প্রশস্ত ব্রহ্মপুত্র নদের নাম ছিল লৌহিত্য সাগর। নদের দুই পাড়ের নিকটবর্তী লোকদের প্রায়ই নৌকায় যাতায়াত করতে হতো। তারা খেয়াঘাটের ইজারাদারের সঙ্গে যাতায়াতের মাশুল হিসেবে বার্ষিক চুক্তি অনুযায়ী দশ কাহন কড়ি প্রদান করতো। সেই হিসেবে এই অঞ্চলের নাম হয় দশকাহনিয়া। তখন কড়ির মাধ্যমে বেচাকেনা বা আর্থিক লেনদেন করা হতো।
মৃত্যুর পর শের আলী গাজীকে খামারের গিদ্দাপাড়া ফকির বাড়িতে সমাহিত করা হয়। এ স্থানটিই শের আলী গাজীর মাজার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
শেরপুর জেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে গাজীর খামারের কাছে গাজীর দরগা হিসেবে পরিচিত শের আলী গাজীর মাজার অবস্থিত।
লেখাঃ ইন্টারনেট অবলম্বনে।
ছবি সংগৃহীত।