শেরপুর জেলার প্রাকৃতিক সম্পদ

প্রাকৃতিক সম্পদ

শেরপুর জেলা বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধশালী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষিজ উৎপাদন, সস্তা শ্রম, ভৌগোলিক অবস্থান এবং প্রাপ্ত খনিজ সম্পদ – এর উপর ভিত্তি করে শেরপুর জেলাকে বাংলাদেশের একটি অন্যতম সমৃদ্ধ জেলায় পরিণত করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মসূচি, প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাসহ সরকারের সকল কার্যক্রমকে সফল করতে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতা অত্যন্ত প্রয়োজন।

শেরপুরের সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক সম্পদ চিনামাটি বিদেশে রফতানী করে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। দেশে যেসব খনিজ সম্পদ রয়েছে তার মধ্যে সিরামিক বা সাদামাটি অন্যতম। জেলার ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদীর পাহাড়ী অঞ্চলে পাওয়া যায় অত্যন্ত মূল্যবান খনিজ  পাথর, সাদা মাটি , নুড়ি ও সিলিকা বালি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন কাঁচামাল যা বিদেশে রফতানি করে বছরে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। শেরপুরের পাহাড়ী অঞ্চলে যে সাদা মাটি বা চীনামাটি পাওয়া যায় তা দিয়ে তৈরি করা যেতে পারে উন্নত  জাতের প্লেট,থালা,বাটি জাতীয় সামগ্রী ছাড়াও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম । ইতিপূর্বে বাংলাদেশ ভূ-তত্ত্ব জরিপ দপ্তর (জিএসবি) এক জরিপ চালিয়ে এখানে পর্যাপ্ত পরিমানে সাদা মাটির মজুদ পান।

১৯৯০ সালে ঝিনাইগাতী ও  শ্রীবরদীর পাহাড়ী অঞ্চলের সাদা মাটি পরীক্ষা করা হয়। এ মাটি  কেত্তলিন জাতীয় সিরামিক সামগ্রী তৈরিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা সম্ভব। সরকারিভাবে উত্তোলন করে থালা-বাসন তৈরি ছাড়াও রাবার, সিমেন্ট, কাগজ, ইনসুলেটর বা বৈদ্যুতিক সামগ্রীতে ব্যবহার করে বিদেশে রফতানি করে বিপুল  পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। এখানকার সাদামাটি দেখতে হালকা ধূসর অথবা হালকা বাদামী । এতে এসব কারখানায় তৈরি তৈজসপত্র দেশের  চাহিদা মেটানো ছাড়াও বিদেশে রফতানী করে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব এবং শেরপুরের লাখ লাখ শ্রমিকেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতে পারে। শেরপুরের  পাহাড়ী অঞ্চলসমূহে এ শিল্পের পর্যাপ্ত কাঁচামাল অর্থাৎ কেত্তলিন জাতীয় সাদা মাটির বিপুল পরিমাণ মজুদ রয়েছে। ১৯৯০ সালের ভু-জরিপ মতে শেরপুর জেলার পাহাড়ী এলাকায় সাদা মাটির সন্ধান মেলে। যার দৈর্ঘ্য ২ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ২ মিটার লেন্স আকারে ছড়ানো। মজুদের পরিমাণ  প্রায় ১৩ হাজার  টনের মতো। এ মাটি সাধারণতঃ দেখতে হালকা ধূসর বর্ণের, কিছুটা হালকা বাদামী- সাদা বর্ণের। এতে এ্যালুমিনিয়াম (হি-২.৩) পরিমাণ শতকরা ২০ ভাগ থেকে ৩০ভাগ। অনুরুপ সাদামাটি ঝিনাইগাতী উপজেলার তাওয়াকুচা গজনী এবং পার্শ্ববর্তী শ্রীবরদীর পাহাড়ী অঞ্চলেও বিদ্যমান।

 

-জাতীয় তথ্য বাতায়ন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *