শেরপুর জেলার গর্ব অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী সুরাইয়া যিনি পা দিয়ে লিখে দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা।
গত ২ সেপ্টেম্বর শনিবার পা দিয়ে লিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মো. ছফির উদ্দিন মেয়ে সুরাইয়া (২০)। যে খবর ইতিমধ্যে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে।
ব্যক্তিজীবনে মো. ছফির উদ্দিন একজন শিক্ষক। চাকরিজীবনের প্রথম দিকে তিনি শেরপুর সদরের আন্ধারিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাকালীন সুপার ছিলেন। বর্তমানে তিনি চরপক্ষিমারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান মডেল স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
‘প্রতি বছর এসএসসি পাশের পর শত শত ছাত্র-ছাত্রী আমার প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়। চাকরিজীবনে এমন হাজারো শিক্ষার্থীকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছি। আমি হাজারো শিক্ষার্থীর বাবা, তারা আমার সন্তান’। আজ, ৫ অক্টোবর ‘বিশ্ব শিক্ষক’ দিবসে ঢাকা পোস্টকে এ কথাগুলো বলছিলেন শিক্ষক মো. ছফির উদ্দিন।
শিক্ষক ছফির উদ্দিন বলেন, আমার মেয়ে সুরাইয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী। তবুও সে অদম্য শক্তিতে এগিয়ে চলেছে। সুরাইয়া এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৪ পয়েন্ট পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। অপর দিকে আমার ছোট মেয়ে সুমাইয়া (১২) ৮ম শ্রেণিতে পড়ে। সে নিজেও খুবই মেধাবী। ক্লাসে সব সময় ১ম স্থান অধিকার করে। বড় মেয়ের ইচ্ছা সে প্রভাষক হবে এবং ছোট মেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হবে। আজ শিক্ষক দিবসে এগুলোই আমার অর্জন। যা মনে করে আমি গর্ববোধ করি।
বিশ্ব শিক্ষক দিবসে সব শিক্ষককে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা। একজন আদর্শ মানুষ গড়তে আদর্শ শিক্ষকের কোনো বিকল্প নেই। আর শিক্ষকেরা মোমবাতির মতো নিজে পুড়ে অন্যকে শিক্ষার আলো দান করেন। তেমনই একজন দক্ষ মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক ছফির উদ্দিন।
হ্যালো শেরপুর পক্ষ থেকে এই অদম্য মেধাবীর জন্য রইল শুভ কামনা।
লেখা ও ছবিঃ ঢাকা পোস্ট।